Back
News & Event

আমরা মধ্যম আয়ের মানুষের জন্যও ফ্ল্যাট নির্মাণ করি

Source: Prothom Alo
Link: https://cutt.ly/wYWEiX9
Interviewee: Shihab Ahmed, Head of Sales & Customer Service
Date: 9th August 2021


আমরা মধ্যম আয়ের মানুষের জন্যও ফ্ল্যাট নির্মাণ করি

শান্তা হোল্ডিংসের নিজস্ব প্রকল্পের পাশাপাশি দেশের আবাসন খাতের পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব সেলস অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস শিহাব আহমেদ।


দেশের আবাসন
খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি শান্তা হোল্ডিংস। দেড় দশক ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে। তো আবাসন প্রকল্প করার ক্ষেত্রে আপনারা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দিয়ে থাকেন?

শিহাব
আহমেদ: শান্তা হোল্ডিংস ব্যবসার শুরু থেকেই আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে কয়েকটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। প্রথমত, যেকোনো গ্রাহক একটি ভালো পরিবেশে থাকতে চান, ভালো প্রতিবেশী চান। একটি ভালো লোকেশনের বাড়ির চাহিদা সব সময়ই থাকে। সম্পত্তির মূল্যও দিন দিন বাড়ে। তাই আমরা আমাদের গ্রাহকদের একটি ভালো লোকেশন বা জায়গা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। যেমন একই সড়কে অনেকগুলো প্লট থাকতে পারে। কিন্তু দক্ষিণ–পূর্ব দিকের প্লটের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। সুতরাং লোকেশনটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয়ত হচ্ছে জমির আকার। আমরা ছোট ছোট জমিতে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। কারণ, বড় জায়গা বিশেষ করে ১০ কাঠা বা তার বেশি জমিতে কাজ করলে একটা খোলামেলা পরিবেশ দেওয়া যায়, শুধু বাসা আর পার্কিং দিয়ে বাড়ি হয় না, সামাজিক পরিবেশ তৈরি করার জন্য জায়গা লাগে। তৃতীয়ত, একজন অভিজ্ঞ স্থপতি তাঁর স্বকীয়তা দিয়ে একটি ভবনকে নানন্দিক করে তোলেন। সে জন্য আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ স্থপতিদের একটি প্যানেল। তাঁরাই শান্তার গ্রাহকদের সুন্দর সুন্দর নকশার বাড়ি উপহার দেন।


ঢাকায়
ফ্ল্যাটের দাম আকাশচুম্বী। তাই অনেকে ঢাকায় ফ্ল্যাট কেনার কথা স্বপ্নেও ভাবতে ভয় পান। জমি নির্মাণসামগ্রীর উচ্চমূল্যের কারণে ফ্ল্যাটের দাম বেশি হওয়ার কথাটি প্রায়ই বলেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। আপনার মতামত কী?

শিহাব আহমেদ: ফ্ল্যাটের দাম বেশি বা কম বলার জন্য একটি ভিত্তি দরকার। আমাদের দেশে সম্পদের ভ্যালুয়েশনটা সেভাবে হয় না, যেটি বিদেশে হয়। ফলে দাম কম নাকি বেশি, সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো কঠিন। কারণ, আমাদের মতো আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো জমি কেনে না, বরং জমির মালিকের সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে প্রকল্প করে থাকে। একটা ভালো লোকেশনের জন্য সব কোম্পানিরই আগ্রহ থাকে। ফলে একটি প্রকল্পের শুরুতেই জমির মালিককে যখন বড় অঙ্কের সাইনিং মানি দিতে হয়, তখন সার্বিকভাবে ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় আমাদের একাধিক অভিজ্ঞ পরামর্শক (কনসালট্যান্ট) নিয়োগ দিতে হয়। যাঁরা ভালো কনসালট্যান্ট, তাঁরা মোটা অঙ্কের সম্মানী নিয়ে থাকেন। তারপর সরকারি দপ্তর থেকে নকশা অনুমোদন ও বিদ্যুৎ–সংযোগ নিতেও ব্যয় আছে। আবার উন্নত মানের টাইলস, মার্বেল, বাথরুম ফিটিংস ও লিফট দিতে গেলে খরচ কমানোর সুযোগ খুবই কম। যখন আমরা বিরাট জায়গার মধ্যে কনডোমিনিয়াম নির্মাণ করি, তখন সার্বিকভাবে খরচটা কমে আসে। কিন্তু ছোট জায়গায় প্রকল্প করলে খরচ কমানো সম্ভব নয়। আমাদের ঢাকায় পরিকল্পিত এলাকা কম, আবার ভালো লোকেশনও কম। বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠানও সব জায়গায় পাওয়া যায় না। বর্তমানে করোনার কারণে হোক বা যেকোনো কারণেই হোক, ভালো ফ্ল্যাটের দাম খুবই সাশ্রয়ী আছে। আমি মনে করি, বর্তমান মূল্যের চেয়ে ফ্ল্যাটের দাম আর কমানোর সুযোগ নেই।

ক্রেতাদের প্রতি আপনাদের প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা কোন জায়গায়?

শিহাব আহমেদ: গ্রাহকেরা ছাড়া আমরা কিছুই না। গ্রাহকেরা মূলত আমাদের তাঁদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। জমির মালিকেরা আমাদের সঙ্গে পার্টনারশিপে এসেছেন বলে আমরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আজকের জায়গায় আসতে পেরেছি। গ্রাহকদের কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে, তাঁদের বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে আরও ভালো অবস্থানে পৌঁছানো। আমরা সব সময় সব ধরনের মানুষের জন্যও কাজ করছি। আমরা মধ্যম আয়ের মানুষের আবাসনের জন্যও ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছি। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কনডোমিনিয়াম আর গেটেড কমিউনিটি করতে চাই। যেখানে সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা থাকবে। মিরপুরে একটির কাজ শুরু হয়েছে। বাকিগুলো পরিকল্পনাধীন।


অনেকেই
মনে করেন, শান্তার ফ্ল্যাটের দাম অনেক বেশি। বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কী?

শিহাব আহমেদ: হ্যাঁ, অনেকের ধারণা, শান্তার নির্মাণ করা ফ্ল্যাটের দাম অনেক ব্যয়বহুল। কিন্তু শান্তা মোটেও ব্যয়বহুল নয়। আমরা যখন থেকে কাজ শুরু করেছি, তখন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যতগুলো প্রকল্প করা হয়েছে, সব কটির দাম বেড়েছে, কমেনি। আমাদের এখন ৫০ শতাংশই বাণিজ্যিক। বাকি ৫০ শতাংশ বাড়ি, এর মধ্যে আবার সিংহভাগ সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ি। পরীবাগ, ইস্কাটন, ইন্দিরা রোড, বনশ্রী, উত্তরায় তুলনামূলক কম দামের ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছি আমরা। বর্তমানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও বেইলি রোডে সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ি নির্মাণ করছি। কিন্ত যেখানেই আমরা বাড়ি তৈরি করি না কেন, আমাদের স্বকীয়তা সব জায়গায় একই থাকে। সব কটি প্রকল্পেই আমাদের ক্রেতারা অনেক আনন্দ নিয়ে বসবাস করেন। আমাদের নেওয়া প্রকল্পগুলোর ছোট অংশ ব্যয়বহুল হয়। বাকি অধিকাংশ তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামের

1639047717tdIwP

Next News & Events

Whatsapp icon_70_