Back
News & Event

প্রকৃতির কাছাকাছি আধুনিক আবাস

Source: Prothom Alo
Link: https://cutt.ly/0QU6wcM
Writer: Shuvankar Karmakar
Date: 9th August 2021


প্রকৃতির কাছাকাছি আধুনিক আবাস


বেলকনিতে দাঁড়িয়ে সামনে চোখ মেললেই সবুজ আর সবুজ। সারি সারি নানা জাতের গাছের মাঝে ছোট্ট একটা পুকুরের টলটলে জলও আপনার অপেক্ষায়। মন চাইলেই সকালে বা বিকেলে ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চা হাতে ডুব দিতে পারেন প্রকৃতির মাঝে। আর মেঘদের খেলার মাঠ নীল আকাশটা তো রয়েছেই দুই হাত বাড়িয়ে...।


কনক্রিট আর যান্ত্রিক শহর ঢাকায় এমন একটি বেলকনি? ভাবছেন, ভোরে ঘুমের মধ্যে দেখা স্বপ্ন ভুল করে লেখার মধ্যে চলে আসছে। না। সত্যিই সত্যিই প্রকৃতির কোল ঘেঁষে এমনই এক আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট ভবন গড়ে তুলছে দেশের আবাসন খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান শান্তা হোল্ডিংস। নর্থ গুলশানের ৮৩ নম্বর সড়কের বিচারপতি সাহবুদ্দীন আহমদ পার্কের সীমানায় গড়ে ওঠা প্রকল্পটির নাম অরা।



শুধু অরা নয়, নর্থ গুলশানের মতো অভিজাত এলাকায় আরও কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প গড়ে তুলছে শান্তা হোল্ডিংস। অরার মতো সেগুলো পার্কের গা ঘেঁষা না হলেও সবুজের কমতি নেই। খোলামেলা পরিবেশ আর আধুনিক সুযোগ–সুবিধা নিয়ে গড়ে ওঠা প্রতিটি প্রকল্পের নকশায় রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি ফ্ল্যাটের বিক্রিও চলছে সমানতালে।


নব্বইয়ের দশকে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকের ব্যবসা দিয়ে শান্তার যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে ব্যবসার প্রসার ঘটায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আবাসন ব্যবসায় নামে শান্তা হোল্ডিংস। এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ বর্গফুট পরিমাণ জায়গার ৪০টির বেশি প্রকল্প হস্তান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের চলমান প্রকল্পের সংখ্যা ২৫।



সবুজে ঘেরা অরা

৯ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা বিচারপতি সাহবুদ্দীন আহমদ পার্কের গা ঘেঁষা ৩৫ কাঠা জমির একটি প্লটেই গড়ে উঠছে ‘অরা’। নান্দনিক নকশায় নিচতলাসহ ১৪ তলা ভবনে ফ্ল্যাট থাকছে ৪৫টি। একেকটি ফ্ল্যাটের আকার ৩ হাজার ৩৫০ বর্গফুট থেকে ৭ হাজার ১০০ বর্গফুট। ভবনের নিচে ভূগর্ভস্থ দুই তলায় রয়েছে পার্কিং। সেখানে ৯০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।


অরাতে ঢুকতেই খোলামেলা পরিবেশ স্বাগত জানাবে আপনাকে। দুই তলা সমান উচ্চতার নিচতলায় থাকবে অভ্যর্থনাকেন্দ্র। অতিথিদের বসার জায়গার পাশাপাশি থাকবে অনেক খোলা জায়গা। আবার ভবনের চারপাশে সবুজ ঘাসের মধ্যে থাকবে হাঁটার ব্যবস্থা। বেশ কিছু গাছপালাও থাকবে সীমানা ঘেঁষে। ভবন আর সীমানাদেয়ালের মধ্যে ছোট মাঠে বাচ্চাদের খেলাধুলা করার সুযোগ তো থাকছেই। ফলে ভবনের বাসিন্দারা বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যেই একটু দম ফেলার ফুরসত পাবেন। তা ছাড়া সুইমিংপুল, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যায়ামাগার ও পার্টি রুমসহ নানা সুযোগ–সুবিধা থাকছে।



আইরিতে বসে আকাশ দেখা

৫০ নম্বর সড়কে ৯ দশমিক ২ কাঠার ওপর আইরিতে ফ্ল্যাট হবে মাত্র আটটি। তার মানে ভবনের প্রতিটি তলায় একেকটি ফ্ল্যাট। যাঁরা নিজেদের মতো করে থাকতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য খুব মানানসই। ৪ হাজার ৫৫০ বর্গফুটের একেকটি ফ্ল্যাটের মধ্যে তিনটি শয়নকক্ষ, ড্রয়িংরুম ও খাবার কক্ষের পাশাপাশি গৃহপরিচারিকার জন্য আলাদা শয়নকক্ষ ও বাথরুম থাকছে।

জুনের শেষ সপ্তাহে আমরা শান্তা হোল্ডিংসের আইরি সরেজমিনে দেখতে যাই। ভবনের বেশির ভাগ কাজই প্রায় শেষ। শান্তার একজন কর্মকর্তা ভবনটি ঘুরিয়ে দেখানোর পাশাপাশি খুঁটিনাটি তথ্যও জানালেন। তিনি আমাদের একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলেন। দক্ষিণা মুখী ভবনটির বেলকনির দিকে পা বাড়ালাম। নিচে একটা বড়সড় গাছ উঁকি দিয়েছে। মাথা তুলতেই ঠান্ডা বাতাসের ছটা লাগল মুখে। আকাশে মেঘের ওড়াউড়ি দেখলাম অনেকক্ষণ।



প্রাণপ্রাচুর্যে ঠাসা নুনিতা


আইরি থেকে বেরিয়ে মিনিট দুয়েক হাঁটলেই ৫৫ ও ৫৭ রোডের মিলনস্থলে শান্তা তৈরি করছে নুনিতা। ১৭ দশমিক ১৭ কাঠার এই জমিতে ইতিমধ্যে ভবনের কাঠামো উঠে গেছে। ভেতরের কাজ চলছে পুরোদমে।
নুনিতায় ঢুকতেই দুই তলার সমান উচ্চতার নিচতলার খোলামেলা পরিবেশ আর গাছগাছালি স্বাগত জানাবে। থাকবে অভ্যর্থনাকেন্দ্র ও অতিথিদের অপেক্ষার জন্য বসার জায়গা। গ্রামের বাড়ির মতো ছোট উঠানের মতো জায়গায় থাকবে সবুজ ঘাস। সেখানে বড়রা হাঁটাহাঁটি আর ছোটরা খেলাধুলা করতে পারবে অনায়াসে। ছাদের ওপরে থাকবে সুইমিংপুল। পার্টি রুম আর আধুনিক যন্ত্রপাতিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যায়ামাগার প্রস্তুত থাকবে ভবনের সব বাসিন্দার জন্য।

চৌদ্দ তলা ভবনটিতে থাকবে ২২টি ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাটের আকার প্রায় ৪ হাজার বর্গফুট। দ্বিতলবিশিষ্ট কার পার্কিংয়ে গাড়ি রাখা যাবে ৪৪টি। সব মিলিয়ে স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশীদের নিয়ে বসবাস করতে চান, তাঁদের জন্য চমৎকার পরিবেশ দিতে প্রস্তুত হচ্ছে নুনিতা।



দ্যা স্যাঙ্কটামে এক বুক প্রশান্তি

আপনি বিকেলে সবুজ ঘাসের লনে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে ম্যাগাজিনে চোখ বুলাচ্ছেন। আর আপনার সন্তান হয়তো সাতসকালেই ঘাসের মধ্যে লুটোপুটি করছে। দৃশ্যটা ভাবতেই মন ভালো হয়ে যাচ্ছে, তাই না! এমনটাই বাস্তবে রূপ দিচ্ছে শান্তা হোল্ডিংস তাদের দ্য স্যঙ্কটামে। গুলশানের ৮১ নম্বর সড়কে বাড়িটি গড়ে উঠছে ২০ কাঠা জমিতে।

স্যঙ্কটামে প্রবেশের সময় বেশ শান্তি শান্তিই লাগবে। পানির ফোয়ারা, সবুজ গাছ আর পরিপাটি অভ্যর্থনাকেন্দ্র আপনাকে সব সময় স্বাগত জানাবে। তবে তার চেয়ে বেশি টানবে বাইরের খোলা জায়গা, যেখানে সবুজ ঘাসের ওপর পাতা রয়েছে কয়েকটি চেয়ার। পাশেই থাকবে হাঁটার জায়গা।

১৩ তলা ভবনটিতে ফ্ল্যাটের সংখ্যা মাত্র ২০। একেকটির আকার ৩ হাজার ৯৫০ বর্গফুটের। শান্তার অন্য অনেক প্রকল্পের মতো এই ভবনের ছাদেও থাকবে সুইমিংপুল। পার্টিরুম আর ব্যায়ামাগার। বাড়তি হিসেবে ছাদের ওপর থাকছে বারবিকিউ করার সুব্যবস্থা। আর ছাদে বসে সবুজ গুলশানের অনেক কিছুই দেখা যাবে। চাইলে রাতের আড্ডা কিংবা একাকী তারা গুনলেও কেউ নিষেধ করবে না।

জানতে চাইলে শান্তা হোল্ডিংসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (কাস্টমার রিলেশনস অ্যান্ড সেলস) শতদল সেন প্রথম আলোকে বলেন, চারটি প্রকল্পের অবস্থান এমন জায়গায় যে নাগরিকদের সব ধরনের সুবিধার সর্বোচ্চটা হাতের কাছেই রয়েছে। ভবনের নিরাপত্তায় একবিন্দুও ছাড় দেওয়া হয় না। সব মিলিয়ে একজন মানুষের স্বপ্নের মতো তার বাড়ি করার চেষ্টা করছে শান্তা।

1628575293wSNKZ
1628575354Hs6pA
1628575812y6sHw

Next News & Events

Whatsapp icon_70_